কলাক্ষেত্র এবং ভারতীয় কলা প্রতিষ্ঠানে ক্রমাগত যৌন হয়রানির সংস্কৃতি
১৯৩৬ সালে রুক্মিণী দেবী অরুন্ডেল ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য ও সংস্কৃতি প্রচারের উদ্দেশ্যে একটি বিখ্যাত একাডেমি, কালাক্ষেত্র, প্রতিষ্ঠিত করেন। সম্প্রতি সেখানে উচ্চ পদস্থ কর্মচারীদের দ্বারা যৌন হয়রানি ও অসদাচরণের সম্মুখীন হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন নারী ৷ এই অভিযোগগুলি ভারতের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির একটি বৃহত্তর প্যাটার্নের অংশ, যেখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শৈল্পিক সংস্থাগুলিতে মামলাগুলি রিপোর্ট করা হয়েছে৷ এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলার কার্যকর ব্যবস্থার অভাব, যৌন হয়রানির ব্যাপকতাকে দায়ী করে কারণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে রয়েছে সঠিক নীতির অভাব বা তারা তা প্রায়শই কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়।
অধিকন্তু, ভুক্তভোগীরা প্রায়শই সামাজিক কলঙ্ক এবং প্রতিশোধের সম্মুখীন হয়ে তাদের সাথে হওয়া অবিচারের অভিযোগ করা
থেকে বিরত থাকে। আবার এই সকল অভিযোগের জবাবে, কলাক্ষেত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। কেউ কেউ অভিযোগ অস্বীকার করেছে আবার কেউ কেউ অতীতের হয়রানির ঘটনা স্বীকার করেছে। একাডেমি অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছে এবং অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উল্লেখিত ঘটনাটি শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে বৃহত্তর জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি বিস্তৃত আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা যৌন হয়রানি মোকাবেলায় শক্তিশালী নীতি, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার পক্ষে কথা বলছেন। সমস্যাটি মোকাবেলা করার জন্য শক্তিশালী নীতি, উচ্চ সচেতনতা এবং নারী পুরুষের সমতা এবং নারীদের প্রতি সম্মানের দিকে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সহ ব্যাপক পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে।