পিএসটিসি এখন আইপিপিএফের সদস্য – এসআরএইচআর উন্নয়নে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হলো
যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার (এসআরএইচআর) বিষয়ক কার্যক্রমে অঙ্গীকারবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি পেল। সংস্থাটি ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশনের (আইপিপিএফ) পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
গত ২০ জুন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত আইপিপিএফ বোর্ড সভায় পিএসটিসির সদস্যপদ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে সংস্থাটির মেম্বারশিপ কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই স্বীকৃতি সম্পর্কে আইপিপিএফের মহাপরিচালক ড. আলভারো বার্মেজো পিএসটিসির গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন সানজিদা ইসলামকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে জানান।
পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের এসআরএইচআর অঙ্গীকার, জবাবদিহি ও দলগত প্রচেষ্টার একটি শক্তিশালী প্রতিফলন। মাত্র ২১ মাসে সহযোগী থেকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে এই অর্জন আমাদের সবার জন্য এক গর্বের বিষয়।”
লন্ডনে আইপিপিএফ বোর্ড অব ট্রাস্টিস মিটিংয়ের আগে এক পরামর্শ সভায় উপস্থিত ছিলেন আইপিপিএফের মহাপরিচালক ড. আলভারো বার্মেজো, দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক টোমোকো ফুকুদা এবং পিএসটিসির নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ।
এই সদস্যপদ অর্জনের ফলে পিএসটিসি এখন আইপিপিএফের বৈশ্বিক এসআরএইচআর নেটওয়ার্কের অংশ হলো, যা বর্তমানে ১৪০টিরও বেশি দেশে সক্রিয়। ফলে সংস্থাটি এখন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, কারিগরি সহায়তা এবং জ্ঞান বিনিময়ের বিস্তৃত সুযোগ পাবে।
পিএসটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অর্জনের পেছনে আইপিপিএফ গ্লোবাল ও দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিসের দিকনির্দেশনা এবং পিএসটিসির গভর্নিং বডি ও কর্মীদের নিরলস পরিশ্রম ছিল অন্যতম ভূমিকা পালনকারী।
সংস্থাটি এখন আইপিপিএফ স্ট্র্যাটেজি ২০২৮-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের ২০২৫–৩০ কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে, যেখানে উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি ও প্রভাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
এটি বাংলাদেশের প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে পিএসটিসি।
Source: Ajker Patrika